মন্টপেলিয়ার, ফ্রান্স গাইড: আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা করা

2024 লেখক: Cyrus Reynolds | [email protected]. সর্বশেষ পরিবর্তিত: 2024-02-07 07:44

মন্টপেলিয়ার ফ্রান্সের দক্ষিণে একটি আলোড়নময় এবং প্রাণবন্ত শহর যা প্রায়শই এর আরও জনপ্রিয় প্রতিবেশী মার্সেইলেস এবং নিস দ্বারা আবৃত। যাইহোক, এর ঐতিহাসিক স্থাপত্য, ট্রেন্ডি বুটিক, ফুটপাথের ক্যাফে এবং নিকটবর্তী ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের জন্য ধন্যবাদ, মন্টপেলিয়ার দক্ষিণ ফ্রান্সের সবচেয়ে আনন্দদায়ক লুকানো রত্নগুলির মধ্যে একটি। শহর জুড়ে বিস্তৃত অনেকগুলি চমত্কার চত্বর কয়েক শতাব্দী আগে চলে যায় এবং 13 শতকে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের প্রাচীনতম মেডিকেল স্কুল যা এখনও চালু রয়েছে৷

বড় ছাত্র জনসংখ্যা এই মধ্যযুগীয় শহরটিকে একটি স্থিরভাবে তরুণ ভাবনা দেয়, এবং সৈকতে একটি দিন কাটানোর পরে বা কাছাকাছি পাহাড়ের আশেপাশে ট্র্যাকিং করার পরে শহরের কেন্দ্রে উপভোগ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে রয়েছে৷ প্যারিস বা বার্সেলোনা থেকে মন্টপেলিয়ারে পৌঁছানো সহজ, এবং আপনার ভ্রমণপথে এই শহরটিকে এর বেলে ইপোক আবেদনের সাথে যোগ করার জন্য আপনি আফসোস করবেন না৷

আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা

• ভ্রমণের সর্বোত্তম সময়: জুলাই এবং আগস্ট ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাস, তবে দামগুলি তা প্রতিফলিত করে এবং আবহাওয়া অস্বস্তিকরভাবে গরম এবং আর্দ্র হতে পারে। আরামদায়ক সৈকত আবহাওয়া এবং অফ-সিজন দামের জন্য মে, জুন বা সেপ্টেম্বরের কাঁধের মরসুমে যান। আপনি যদিসৈকতে যাচ্ছেন না, তারপরে হালকা শীত এবং ছুটির বাজার ডিসেম্বরে পরিদর্শনের জন্য একটি শক্তিশালী কেস তৈরি করে৷
• ভাষা: ফরাসি হল মন্টপেলিয়ারে কথিত ভাষা। শহরের কেন্দ্রস্থলে এবং বিশেষ করে পর্যটকদের দ্বারা ঘনঘন স্থানগুলিতে, সাধারণত ইংরেজিও বলা হয়৷
• মুদ্রা: ইউরো ব্যবহৃত মুদ্রা, যদিও ক্রেডিট কার্ড ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়।
• আশেপাশে ঘোরাঘুরি: মন্টপেলিয়ারের কেন্দ্রের চারপাশে হেঁটে যাওয়া সহজ, তবে বাইরের পাড়া বা আশেপাশের গ্রামে যাওয়ার জন্য চারটি লাইন সহ একটি ট্রাম উপলব্ধ। এছাড়াও শহর জুড়ে ডকিং স্টেশন সহ Velomagg নামে একটি বাইক-শেয়ারিং প্রোগ্রাম রয়েছে যা বিদেশীরাও সুবিধা নিতে পারে৷
• ভ্রমণ টিপ: ভেলোম্যাগ বাইকগুলির মধ্যে একটি ব্যবহার করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনার চিপ-সক্ষম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শহরের যেকোনো একটি স্টেশন থেকে সরাসরি বাইক ভাড়া নেওয়া।. যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডে একটি চিপ না থাকে, তাহলে আপনি ফোনের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের জন্য স্টেশনের ফোন নম্বরে কল করতে পারেন (ইংরেজি-ভাষী পরিচারক উপলব্ধ)।

যা করতে হবে

মন্টপেলিয়ারের ঐতিহাসিক কেন্দ্র, যা ওল্ড টাউন নামে পরিচিত, এটি শুরু করার জায়গা। ঘূর্ণায়মান রাস্তার মধ্য দিয়ে আপনার পথ তৈরি করুন এবং দুর্ঘটনাক্রমে আপনি যে আনন্দদায়ক ছোট স্কোয়ারগুলি পেয়েছেন তা আবিষ্কার করুন। অনেক পুরানো শহরের মতো, মন্টপেলিয়ারও অনেক পুনর্নির্মাণের বিষয় ছিল এবং আপনি রাস্তায় 17- এবং 18-শতাব্দীর সুন্দর অট্টালিকা দেখতে পাবেন। শহরের বাইরে, প্রকৃতি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। দক্ষিণ দিকে যান এবং আপনি ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে তার ঈর্ষণীয় সৈকত সহ আঘাত করবেন, অথবা উত্তরে যান এবং আপনি নিজেকে খুঁজে পাবেনচুনাপাথরের পাহাড় যা দক্ষিণ ফ্রান্সকে সংজ্ঞায়িত করে।

• ওল্ড টাউনের প্রান্তে লা প্রোমেনাড ডু পেইরু বসে আছে, একটি বিশাল খোলা জায়গা যা শহরের অনেকগুলি রোদময় দিনের একটিতে হাঁটার জন্য বা পিকনিকের জন্য উপযুক্ত (এই ভূমধ্যসাগরীয় শহরে গড়ে 300 দিন রোদ থাকে একটি বছর). পার্কটির এক প্রান্তে 18 শতকের একটি জলাশয় রয়েছে এবং অন্য প্রান্তে এটির নিজস্ব আর্ক ডি ট্রায়মফে রয়েছে, যা কিছু খুব ইনস্টাগ্রামযোগ্য ফটোগুলির জন্য একটি নিখুঁত পটভূমি তৈরি করে৷ প্রতিদিনের ফল এবং সবজির বাজারগুলি দক্ষিণ ফ্রান্সের রঙ এবং ঘ্রাণ দেখায়, যেখানে শনিবারের ফ্লি মার্কেট দর্শকদের কিছু স্থানীয় শিল্পকর্ম এবং স্মৃতিচিহ্ন বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়৷
• যখন আপনি ফ্রান্সের দক্ষিণে থাকেন, তখন সৈকতে একদিনের ভ্রমণ কার্যত বাধ্যতামূলক। পালাভাস-লেস-ফ্লটসের মন্টপেলিয়ারের নিকটতম সমুদ্র সৈকতে গাড়িতে বা বাইকে এক ঘন্টার মধ্যে 20 মিনিটে পৌঁছানো যায়, তবে এই অঞ্চলে এটি খুব কমই। L'Espiguette সমুদ্র সৈকত মন্টপেলিয়ার শহরের কেন্দ্র থেকে গাড়িতে প্রায় 40 মিনিটের দূরত্বে এবং প্রায়শই পুরো ফ্রান্সের সবচেয়ে মনোরম সৈকতগুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্থান পায়৷
• মন্টপেলিয়ারকে ঘিরে চুনাপাথরের পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত একটি গ্রামীণ ছোট শহর সেন্ট-গুইলহেম-লে-মরুভূমির নিকটবর্তী গ্রাম পরিদর্শনের সাথে অক্সিটান গ্রামাঞ্চলে একটি ভ্রমণ করুন। পাথরের ঘর এবং নবম শতাব্দীর মঠ এই সুন্দর শহরটিকে একটি বিশেষ রোমান্টিক অনুভূতি দেয় এবং শহর থেকে বেরিয়ে ফরাসি জীবনের বুকোলিক দিকটি উপভোগ করার জন্য এটি একটি নিখুঁত পালানোর জায়গা৷

কী খাবেন এবং পান করবেন

আপনি যদি সামুদ্রিক খাবারের অনুরাগী হন তবে আপনি মন্টপেলিয়ারে বাড়িতেই বোধ করবেন। স্থানীয় রন্ধনপ্রণালীকাছের সাগরে তাজা যা কিছু ধরা হয়, যেমন ঝিনুক, কাঁকড়া এবং বিভিন্ন মাছ যা ভাজা হয় বা স্ট্যুতে ব্যবহার করা হয়। তবে এই অঞ্চলের তারকা খাবারগুলির মধ্যে একটি হল ঝিনুক বা হুত্রে। আপনি সারা শহরের মেনুতে এগুলি খুঁজে পেতে পারেন এবং সেগুলি কাঁচা খাওয়া হয়, কখনও কখনও তাজা লেবুর রস বা ভিনেগারের ড্যাশ দিয়ে।

যদিও বোর্দো বা শ্যাম্পেনের মতো অঞ্চলগুলি তাদের ওয়াইনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বেশি পরিচিত, তবে ল্যাঙ্গুয়েডক-রাউসিলন নামক মন্টপেলিয়ারের আশেপাশের অঞ্চলটি আসলে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়াইন উৎপাদনকারী অঞ্চল। যদিও এই অঞ্চলটি একসময় গুণমানের চেয়ে পরিমাণের জন্য একটি খ্যাতি ছিল, স্থানীয় ভিন্টনাররা সেই স্থিতি পরিবর্তন করতে এবং ল্যাঙ্গুয়েডক-রাউসিলনের সেরা সেরাটি দেখানোর জন্য কাজ করছে। যেখানে অন্যান্য ফরাসি ওয়াইনগুলিকে অযৌক্তিক এবং এমনকি দাম্ভিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, মন্টপেলিয়ারের আশেপাশে তারা আরও বিনয়ী ভিন ডি পেস বা "দেশীয় ওয়াইন।"

কোথায় থাকবেন

Montpellier-এ বাজেট হোটেল থেকে শুরু করে উচ্চমানের বাসস্থান পর্যন্ত বিস্তৃত থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। শহরটিকে সাতটি স্বতন্ত্র জেলায় বিভক্ত করা হয়েছে এবং L'Écusson নামক কেন্দ্রীয় জেলাটি সাধারণত পর্যটক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য সেরা। শহরের সমস্ত প্রধান সাইটগুলি সহজে হাঁটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে, যা কাছাকাছি যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় কারণ পুরো ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি গাড়ি-মুক্ত এবং পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত৷

L'Écusson-এর সংলগ্ন হল Les Beaux-Arts জেলা, একটি হিপ বোহেমিয়ান স্পন্দন সহ একটি প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ছাত্র জনতার কাছে জনপ্রিয়। আপনি পুরো এলাকা জুড়ে প্রচুর ট্রেন্ডি বার, ক্যাফে এবং বিস্ট্রো পাবেন তবে এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয়হাঁটা বা বাইক চালানোর দূরত্বের মধ্যে পর্যটক আকর্ষণ (বা একটি ছোট ট্রাম যাত্রা)। যেহেতু এটি শহরের কেন্দ্রস্থল নয়, তাই L'Écusson-এর তুলনায় Les Beaux-Arts-এ হোমস্টে বা হোটেলের দাম কিছুটা কম।

সেখানে যাওয়া

আপনার যাত্রা শুরু করার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক শহরগুলি সাধারণত প্যারিস বা বার্সেলোনা হতে চলেছে, যেগুলির সর্বদা মন্টপেলিয়ারের সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে৷ আমস্টারডাম, মাদ্রিদ এবং লন্ডন সহ ঋতুর উপর নির্ভর করে প্যারিসের পাশাপাশি ইউরোপের অন্যান্য বড় শহরগুলিতে সরাসরি ফ্লাইট সহ শহরটিতে একটি বিমানবন্দর রয়েছে৷

মন্টপেলিয়ারে একটি ট্রেন স্টেশনও রয়েছে এবং যাত্রীরা প্যারিস বা বার্সেলোনা থেকে একটি উচ্চ-গতির ট্রেন বুক করতে পারেন, যে কোনও শহর থেকে মোট ভ্রমণের সময় প্রায় তিন ঘন্টা লাগে৷

টাকা বাঁচানোর টিপস

• আপনি যদি দীর্ঘ যাত্রায় কিছু মনে না করেন, তাহলে বাসে যাওয়া হল মন্টপেলিয়ারে যাওয়ার সবচেয়ে সস্তা উপায়। বার্সেলোনা থেকে বাস যাত্রায় প্রায় পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে এবং প্যারিস থেকে আসতে কমপক্ষে 10 ঘন্টা সময় লাগবে। কিন্তু আপনি যদি শেষ মুহূর্তের টিকিট বুক করে থাকেন তাহলে ট্রেন বা ফ্লাইটের দাম বাজেটের বাইরে হতে পারে, তাই সস্তা বিকল্পের জন্য বাসের টিকিট দেখুন।
• একটি বিনামূল্যে হাঁটা সফরে শহরে যা কিছু দেখার আছে তার একটি ওভারভিউ পান৷ এটি শহরের একটি ওভারভিউ পাওয়ার একটি সুবিধাজনক এবং ব্যাপক উপায়, এবং আপনি নিজে থেকে অন্বেষণ করার চেয়ে মন্টপেলিয়ারের ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে নিশ্চিত। এবং যেহেতু ট্যুরটি বিনামূল্যে, তাই আপনাকে যা দিতে হবে তা হল শেষে আপনার গাইডকে গ্রাচুইটি।
• লাঞ্চের সময় স্থানীয় রেস্তোরাঁয় একটি মেনু ডু যাওর সন্ধান করুন, যা হল৷সাধারণত একটি প্রিক্স-ফিক্স মেনু কম দামে যা কিছু তাজা ব্যবহার করে সেদিন। আরও ভাল ডিলের জন্য, আপনি যখন একটি রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন তখন পর্যটন ঐতিহাসিক কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনি কেবল কম অর্থ প্রদান করবেন না তবে স্থানীয়রা কোথায় খায় তাও খুঁজে পাবেন।